ফেসবুক থেকে টাকা আয় ২০২৪ – ফেসবুক নিঃসন্দেহে বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ফেসবুক এখন একটি মাল্টিপারপাস (বহুমুখী) ওয়েবসাইট বলা যায়। ফেসবুকের এখন শুধুমাত্র লাইক, কমেন্ট, শেয়ার বা চ্যাটিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ না, ফেসবুক থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
আপনি যেই মুহূর্তে ফেসবুকে শুধুমাত্র চ্যাটিং করে পার করছেন ঠিক সেই মুহূর্তেই ফেসবুক ব্যবহার করেই আরেকজন লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। হ্যাঁ, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ২০২৪ সালে ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।
ফেসবুক থেকে কেনো আয় করবেন
প্রথমেই বলেছি বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বড় একটি প্লাটফর্ম হলো ফেসবুক। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই প্রায় আড়াই কোটি ফেসবুক ইউজার রয়েছে। তাহলে এর ব্যাপ্তি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের বেকারদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছে। আপনি যদি এই ফেসবুকের বিশাল এই কমিউনিটিকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনিও নিজের জন্য হলেও কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যে সময়টুকু আপনি ফেসবুকে বেহুদা খরচ করছেন সেই সময়টুকু সঠিকভাবে ইউজ করার মাধ্যমে আপনি কিছু টাকাও ইনকাম করতে পারবেন।
আরও দেখুনঃ প্যাসিভ ইনকাম কি? সেরা ৫টি প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া
ফেসবুক থেকে টাকা আয়ের বিভিন্ন উপায়
- ফেসবুক পেইজ থেকে আয়
- ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়
- ফেসবুকে ব্যবসা করে আয়
- ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে আয়
- ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয়
- ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- ফেসবুকে পেইজ প্রমোট সার্ভিস থেকে আয়
ফেসবুক পেইজ থেকে আয়
এমনিতেই শুধুমাত্র আপনি ফেসবুক আইডি থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। এজন্য দরকার হবে একটি ফেসবুক পেইজ। কারণ আপনি আপনার ফেসবুক আইডিতে শুধুমাত্র ৫,০০০ বন্ধু বানাতে পারবেন কিন্তু আপনার ফেসবুক পেইজে অগণিত মানুষ লাইক/ফলো করে যুক্ত থাকতে হবে। আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক আইডিকে পেইজে কনভার্ট করতে পারেন।
আপনি যদি ফেসবুক পেইজ থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনার পেইজটি বড় করতে হবে। পেইজের রিচ যত বেশি হবে ততো ভালো। আপনি পেইজের রিচ কিভাবে বাড়াতে হয় সেটি সম্পর্কে দেখতে পারেন।
যখন আপনার একটি বড় ফেসবুক পেইজ থাকবে তখন আপনি অন্যদের ফেসবুক পেইজ শেয়ার করে তাদের প্রমোশনের বিনিময়ে টাকা নিতে পারেন। উল্লেখ্য আমার ফেসবুক পেইজে আমি একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ২০০/- নিই; আপনি কত টাকা নিবেন সেটা নির্ভর করছে আপনার পেইজের লাইকের সংখ্যা এবং পোস্টের রিচের উপর।
এছাড়াও অনেক নতুন ব্লগ এবং নিউজ পোর্টাল তাদের প্রচারের জন্য বড় বড় ফেসবুক পেইজ ভাড়া নেয় তাদের প্রমোশনের জন্য। এক্ষেত্রে আপনি এসব ব্লগ বা নিউজ পোর্টালের সাথে যোগাযোগ করে আপনার পেইজে তাদের লিংক শেয়ার করে টাকা আয় করতে পারেন।
আরও দেখুন — মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায়!
ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়
ফেসবুক পেইজ এবং ফেসবুক গ্রুপের প্রধান যে পার্থক্য হলো সেটি হলো ফেসবুক গ্রুপে সকল মেম্বারই পোস্ট করতে পারবে আর ফেসবুক পেইজে শুধুমাত্র এডমিন/এডিটর।
তার থেকে বড় কথা একটা ফেসবুক গ্রুপে একটু সময় দিলেই এর মেম্বার অনেক বাড়ানো সম্ভব। ফেসবুক গ্রুপ বড় হলে আপনি খুব সহজে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
তাছাড়া বর্তমানে ফেসবুক গ্রুপের জন্য ব্র্যান্ড কোলাব নামের একটি অপশন রয়েছে। যেটির মাধ্যমে আপনি স্পন্সর পোস্ট করে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক পেইজের মতো গ্রুপের মাধ্যমেও কোনো ব্লগ, নিউজ পোর্টাল প্রমোশনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। এই গ্রুপ থেকে প্রমোশনের ইনকামে কোনো পরিশ্রম নেই, শুধুমাত্র গ্রুপ মেম্বার বাড়াতে পারলেই হলো।
এছাড়াও অনেকে ফেসবুক গ্রুপ কিনে তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য। সাধারণত ১লক্ষ্য একটিভ মেম্বারের ফেসবুক গ্রুপ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হয়।
এখন আপনার যদি কিছু ফেইক ৫০০০ ফ্রেন্ডের আইডি থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি গ্রুপের মেম্বার বাড়াতে পারবেন। এবার আপনার মাথায় আসতে পারে, ফেসবুক গ্রুপ কিভাবে বিক্রি করবো? হ্যা, খুব সহজেই আপনি ফেসবুক গ্রুপ বিক্রি করতে পারবেন এজন্য রয়েছে ফেসবুক গ্রুপ বিক্রির জন্য গ্রুপ। তাছাড়া রয়েছে এডমিন ডিল সুবিধা, ফলে গ্রুপ বিক্রির সময় প্রতারণার ভয় থাকতেছে না।
আরও দেখুন: ফেসবুক আইডি ডিলিট করার নিয়ম
ফেসবুকে ব্যবসা করে আয়
বর্তমানে ই-কমার্সের ফেসবুক ভার্সন হচ্ছে এফ কমার্স। উদ্যোক্তারা ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে লাভবান হচ্ছে। দেখা গেছে এই কোভিড-১৯ মহামারীর সময় মানুষের মাঝে অনলাইনে পণ্য কেনার প্রবনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়ে গেছে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করতে পারে না বা করে না অন্যদিকে ফেসবুক যেহেতু একদম কাস্টমারের সাথে বিক্রেতার সরাসরি সংযোগ সৃষ্টি করেছে তাই ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করলে দ্রুত সফল হওয়া সম্ভব।
আপনি যেকোন ধরনের প্রোডাক্ট ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারবেন এজন্য আপনার একটি ফেসবুক পেইজ থাকা চাই। এজন্য মাঝে মাঝে ফেসবুক পেইজ প্রমোট এবং আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বুস্ট করে আপনার ব্যবসার সহজেই প্রসার করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার যদি কোন অফলাইন বিজনেস থাকে সেটার প্রোডাক্টের ডিজিটাল মার্কেটিং ফেসবুক প্রমোট এর মাধ্যমে করে আপনার ব্যবসা বাড়াতে পারবেন।
যারা ফেসবুকে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে একটি আইডিয়া দিচ্ছি: আমাদের বাংলাদেশের অনেকেরই নিজস্ব পেপাল অ্যাকাউন্ট, মাস্টারকার্ড, ভিসাকার্ড এসব নেই। কিন্তু আপনার যদি এসব থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ফেসবুকে একটি ডিজিটাল সার্ভিস ব্যবসা চালু করতে পারবেন।
ধরুন, কেউ নেমচিপ থেকে একটি ডোমেইন নিবে। আপনি তার ডোমেইনটি আপনার কাছ থেকে নিয়ে দিলেন। আর আপনি ১ডলারের জন্য ১০০ টাকা নিতে পারেন, এতে ডলার প্রতি আপনার লাভ হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
এছাড়াও আপনি চাইলে নেটফ্লিক্স, ডিজনী, HBO, অ্যামাজন সহ অন্যান্য ডিজিটাল সেবার সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার সফলতার জন্য আপনার সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে আয়
আমরা সকলেই জানি ইউটিউব থেকে ভিডিও মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন আপনি আপনার ফেসবুকের ভিডিওর মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকের ভিডিও মনিটাইজেশনের বিষয়টিকে বলা হয় ইন স্ট্রিম এডস (in stream ads)। ফেসবুক পেইজের এই ভিডিওর মাধ্যমে টাকা ইনকাম এর জন্য প্রথমে আপনার ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে।
ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশন এর জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এজন্য আপনার ফেসবুক পেইজটিতে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে এবং ভিডিওগুলো তিন মিনিটের বেশি দীর্ঘ হতে হবে। পাশাপাশি আপনার পেইজের ভিডিও গুলোতে ৩০০০ মিনিটের বেশি ভিউ হতে হবে।
তবে আপনার ফেসবুক পেইজে কোন ভায়োলেশন এবং ভিডিওটি কপিরাইট হলে কখনো ফেসবুক ভিডিও থেকে মনিটাইজেশন পাবেন না। আপনার ফেসবুক পেইজটি মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য কিনা সেটি এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।
আপনি যদি ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভিডিওটি সরাসরি আপলোড করার মাধ্যমে ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে পারবেন। ফেসবুক মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইদানিং নতুন নতুন গেমিং ভিডিও ক্রিয়েটররা অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আপনি কোনো ছবি বা এনিমেশনের সাথে কোন গানের মিউজিক জুড়ে দিয়ে সেটা থেকেও ভিডিও মনিটাইজেশন করতে পারবেন।
আরও দেখুন: ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার ৫টি উপায়!
ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে আয়
মাত্রই আমরা ফেসবুকে ভিডিও মনিটাইজেশন নিয়ে আলোচনা করলাম। যারা ভিডিও বানায় তাদের জন্য মনিটাইজেশন। কিন্তু যারা আমাদের মত ব্লগিং করে বা ওয়েবসাইটের লিখালিখি করে তারাও কিন্তু ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন নিতে পারে।
ওয়েবসাইটে ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন নেওয়ার বিষয়টিকে বলা হয় ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল। আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল অ্যাপ্রুভ হলে আপনি যে লিঙ্কটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সেটি দ্রুত ফেসবুকেই লোড নিবে এবং সেখানে বিজ্ঞাপন দেখাবে।
মজার বিষয় হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল বাংলা ভাষাও সাপোর্ট করে। ফলে আপনার যদি বাংলা ব্লগ থাকে তাহলেও আপনি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। তবে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শুধুমাত্র মোবাইলের ফেসবুক অ্যাপের জন্য অর্থাৎ ফেসবুক লাইট কিংবা ওয়েব ফেসবুকে আপনি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল কাজ করবে না।
আপনার ব্লগের জন্য ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করতে প্রথমে আপনার কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। ফেসবুক থেকে আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমান ভিজিটর থাকতে হবে। আপনার একটি কমপক্ষে ১০০০ ফলোয়ারের ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে যে পেইজের মাধ্যমে মূলত ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এপ্রুভ করতে হবে। আপনার ব্লগে কমপক্ষে ২০টি আর্টিকেল থাকতে হবে।
তবে একটি বিষয় হচ্ছে, ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল অ্যাপ্রুভ হলে ফেসবুক থেকে কেউ আপনার সাইট ভিজিট করলে এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন কিন্তু দেখাবে না। এখানে ক্লিক করে দেখে নিন আপনি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের জন্য যোগ্য কিনা।
ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
মূলধন ছাড়া কি কখনো ব্যবসা করা যায়? কোন মূলধন ছাড়া বেশিরভাগ ব্যবসা করা না গেলেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন কোন প্রকার মূলধন ছাড়াই। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন বিক্রেতার পণ্য আপনার রেফারের মাধ্যমে বিক্রি করা। এতে বিক্রেতা লভ্যাংশ থেকে আপনাকে কিছু টাকা প্রদান করবে।
আপনার যদি এই একটি ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপ থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে দেশীয় অনেক উদ্যোক্তার জন্য আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের পণ্যের বিক্রি ও প্রসার করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে আবার আরেক নামে রিসেলিং ব্যবসা হিসেবে বলা যায়। বাংলাদেশী সাইট আজকের ডিল ও শপ আপের মাধ্যমে অনেকেই রিসেলিং করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে।
আপনাদের কাছে রিসেলিং বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করে দিচ্ছি, রিসেলিং শব্দটার অর্থ হচ্ছে পুনরায় বিক্রি। এক্ষেত্রে আপনার একটি ফেসবুক গ্রুপ বা পেইজ থাকতে হবে। তারপর রিসেলিং সাইটগুলো থেকে ছবি নিয়ে প্রডাক্ট পোস্ট করে বিক্রি করবেন। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে রিসেলিং সাইটের থেকে বেশি দাম নিতে পারেন। আপনি যদি বেশি দাম নিন তাহলে আপনার লাভ হচ্ছে পাশাপাশি যাদের পণ্য বিক্রি করলেন তারাও কিন্তু আপনাকে কমিশন দিবে।
ফেসবুকে পেইজ প্রমোট সার্ভিস থেকে আয়
ফেসবুকে সবথেকে ট্রেন্ডিং ব্যবসা হচ্ছে ফেসবুক পেইজ প্রমোট বা বুস্ট করার ব্যবসা। অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে যারা ফেসবুকে তাদের ব্যবসার প্রচার-প্রসার ও বিক্রি বাড়াতে চায়। কিন্তু সবারই ফেসবুক পেইজ প্রমোট করার মতো মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড থাকে না।
আপনার যদি মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক পেইজ প্রমোট সার্ভিস দাড় করাতে পারবেন। বর্তমানে ডলার রেট ৮৫ টাকা এভারেজ, আপনি যদি প্রতি ডলার ১০০ টাকা করেও নেন তাহলেও আপনার ১৫ টাকা করে লাভ থেকে যায়।
এছাড়াও আরো একটি সম্ভাবনাময় ব্যবসা হলো ফেসবুক কুপন ব্যবসা। যেটার মাধ্যমে কোনো খরচ ছাড়াই ফেসবুক কুপন ক্লেইম করে আপনি আপনার ফেসবুক প্রমোট ব্যবসা চালু করতে পারেন। তবে যদি আপনি ফেসবুক প্রমোট ব্যবসায় বিশ্বাস ও সততার সাথে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে সত্যিই সফল হতে পারবেন।
শেষ কথা
ফেসবুক ব্যবহার করে অনেকেই টাকা ইনকাম করতেছে অথচ আপনি শুধু নিউজফিড স্ক্রল করে যাচ্ছেন। তাই সময়কে কাজে লাগান সফলতা দেখা দিবেই, ইনশাল্লাহ।
এই ছিলো আমাদের ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।