আমরা যারা ব্লগার তারা প্রায়ই শুনে থাকি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল সম্পর্কে। যে কনটেন্ট গুগলের জন্য উপযোগী অর্থাৎ অপটিমাইজ করা হয়েছে সেটাই হলো (SEO Friendly) এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল। আজকের এই ব্লগে আমরা জানবো কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি বাংলা আর্টিকেল লিখতে হয়।
আপনি ব্লগার হোন কিংবা আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই কাজের হবে। বিশেষ করে নতুনদের জন্য।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি?
আমরা সকলেই জানি এসইও মানে হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। তাহলে দাঁড়ায়, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হলো সেসব আর্টিকেল যেগুলোকে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর বিভিন্ন ফ্যাক্টরকে মেনে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা হয়েছে। যেহেতু গুগল সবথেকে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, আমরা গুগলের জন্য কিভাবে কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে হয় সেটাই জানব।
আর্টিকেল লেখার জন্য তিনটি বিষয়ের সমন্বয় করতে হয় –
- কনটেন্ট
- পাঠক (Visitors)
- গুগল (ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন)
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল আমাদেরকে ব্লগের অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে এবং ভিজিটর ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আরোও দেখুন: যেভাবে ব্লগার সাইটে স্পিড বাড়াবেন
এসইও স্ট্যান্ডার্ড কনটেন্টের বৈশিষ্ট্য
১. ইউনিক কনটেন্ট: এসইও স্ট্যান্ডার্ড কনটেন্টের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি হবে একদম ইউনিক কন্টেন্ট। ইউনিক কন্টেন্ট বলতে বোঝানো হচ্ছে কপি মুক্ত কন্টেন্ট। কনটেন্টের ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন প্যারাগ্রাফ, ইমেজ কিংবা ভিডিও। যখন কনটেন্টের এর উপাদান গুলো কপি মুক্ত হবে তখনই তাকে বলা হচ্ছে ইউনিক আর্টিকেল।
গুগল কনটেন্টকে তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করে – কোয়ালিটি, রিলিভেন্সি এবং ইউনিকনেস। এজন্যই গুগলে যদি আপনি আপনার কনটেন্ট রেঙ্ক (Rank) করতে চান তাহলে অবশ্যই সেটি ইউনিক হতে হবে। আর এই তিনটি বিষয়ের ওপর কেনো গুগল সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেয় সেটি এই ব্লগ পড়ার পরেই বুঝতে পারবেন।
২. পাঠকের চাহিদা পূরন: পাঠকের চাহিদা পূরণ বলতে বোঝানো হচ্ছে একজন ভিজিটর গুগল এ সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইট এ ক্লিক করলো এবং ক্লিক করে সে যেটা সার্চ করেছিল সেটা পেলো। ভিজিটরদের চাহিদা পূরণের বিষয়কে বলা হয়ে থাকে সার্চ ইনটেন্ট (Search Intent)।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেলে গ্রাহক যা চাচ্ছে সেটাই কনটেন্ট এর ভিতরে দেওয়া থাকে। সার্চ সার্চ রেজাল্টে ভিজিটর যে বিষয়টা খুজতেছিল সেই বিষয়টা যদি সে পায় তাহলে ব্লগের রিটার্নিং ভিজিটরও কিন্তু বেড়ে যায়।
ধরুন আপনার কনটেন্টের টাইটেল হলো ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিন্তু আপনি ভিতর দিয়ে দিচ্ছেন ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে হয়। এটা কখনোই সার্চ ইনটেন্ট অনুসরন করে না। শুরুতেই যে তিনটি বিষয় সম্পর্কে বলেছি সেটির মধ্যে একটি হল রিলেভেন্সি (Relevance), অর্থাৎ সার্চ ইনটেন্টের সাথে মিল থাকতে হবে।
৩. এসইও ফ্যাক্টর অনুসরণ: সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে আর্টিকেল রেঙ্ক করার বিভিন্ন ফ্যাক্টর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ, কিওয়ার্ড কোথায় বসবে, টাইটেল ও হেডিং, ইমেজ অপটিমাইজ, লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি।
SEO Friendly আর্টিকেল লেখার টিপস
কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের উপযোগী করে তুলতে প্রায় দুই শতাধিক এসইও ফ্যাক্টর রয়েছে। নিচে আমরা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার জন্য কয়েকটি টিপস সম্পর্কে জানবো —
কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research)
একটি আর্টিকেল লেখার পূর্বে আপনাকে আপনার ব্লগের সার্চ ইনটেন্ট বা ভিজিটর কি চায় সেটা সম্পর্কে জানতে হবে। এজন্য কনটেন্টের লেখার শুরুতেই আপনাকে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
Keyword শব্দটির বাংলা করলে দাঁড়ায় মূল শব্দ। অর্থাৎ একটি কনটেন্ট কোন বিষয়ের উপর সেটা কিওয়ার্ড দেখেই বুঝা যায়। যেমন: কনটেন্ট মার্কেটিং কি, কনটেন্ট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়? আমাদের ব্লগের এই আর্টিকেলের মূল শব্দ বা কিওয়ার্ড হল কনটেন্ট মার্কেটিং।
ইন্টারনেটে কিওয়ার্ড রিসার্চ অনেক টুলস রয়েছে। তবে বাংলা কনটেন্ট এর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হলে সব থেকে ভালো ফলাফল দিয়ে থাকে উবারসাজেস্ট (ubersuggest)। কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস একটি বিস্তর আলোচনার, এ বিষয়ে সামনে একটি পূর্ণাঙ্গ কন্টাক্ট আসবে ইনশা’ল্লাহ।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হলে কয়েকটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। প্রথমেই আপনাকে দেখতে হবে আপনার কিওয়ার্ডটির সার্চ ভ্যালু আছে কিনা। যদি সার্চ ভ্যালু না থাকে বা কম থাকে তাহলে সে বিষয়ে কনটেন্ট লেখার কোনো মানে নেই।
এবার দেখা গেলো কিওয়ার্ডটির যথেষ্ট সার্চ ভ্যালু রয়েছে, অনেক মানুষ সার্চ করে। কিন্তু আপনাকে এখন দেখতে হবে কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি (KD – Keyword Difficulty)। কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বলতে বোঝায় ওই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করা কতটা কঠিন। নতুন ব্লগ এর ক্ষেত্রে KD যদি খুব বেশি হয় তাহলে সেই কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ না করাই ভালো।
তৃতীয়তঃ যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে ম্যানুয়ালি। আপনার কিওয়ার্ডটি লিখে গুগলে সার্চ করলে কিছু সার্চ রেজাল্ট পাবেন, তারা হচ্ছে আপনার প্রতিযোগী (Competitor)। সার্চ রেজাল্টে প্রথমে থাকা Competitor ব্লগগুলোকে দেখতে হবে তারা কিভাবে কনটেন্ট লিখেছে বা অপটিমাইজ করেছে।
টাইটেল অপটিমাইজ
কনটেন্ট অপটিমাইজ করার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে টাইটেল। টাইটেল হচ্ছে ৫-৮টি শব্দের একটি শিরোনাম যেটি দেখেই বুঝা যাবে আর্টিকেলটি কোন বিষয়ে।
টাইটেলে মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে, যথা সম্ভব টাইটেলের শুরুতেই রাখার চেষ্টা করবেন। ফোকাস কিওয়ার্ডকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে সেরা, টপ, কে, কেন, কিভাবে, সাল (২০২০, ২০২১) এগুলো ব্যবহার করা যায়। ভিজিটরকে আকর্ষণ করে এমন ক্লিকবেট টাইটেল না দেওয়াই শ্রেয়, কারণ গুগল দিন দিন স্মার্ট হচ্ছে।
মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ
সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টে টাইটেলের নিচে যে ১০০-১৫০ অক্ষরের শিরোনাম দেখানো হয় সেটি মূলত মেটা ডেসক্রিপশন (Meta Description)। এই ডেসক্রিপশন থেকে গুগল বুঝতে পারে কনটেন্টের ভিতরে কি রয়েছে। যদিও সার্চ কিওয়ার্ড অনুযায়ী গুগল অনেকসময় মেটা ডেসক্রিপশন রিরাইট করে থাকে।
মেটা ডেসক্রিপশন অবশ্যই আপনার ফোকাস কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন। যেহেতু এটা সার্চ রেজাল্টে দেখায় তাই অবশ্যই ভিজিটরকে আকর্ষণ করে এরকম কিছু এতে যুক্ত করে দিবেন। মেটা ডেসক্রিপশনকে ব্লগারে আবার বলা হয় সার্চ ডেসক্রিপশন।
পোস্ট বডি অপটিমাইজ
টাইটেল ব্যতীত পুরো আর্টিকেলে যা থাকে তাই হচ্ছে পোস্ট বডি। পোস্ট বডির মধ্যে থাকে প্যারাগ্রাফ, হেডিং, ইমেজ, ভিডিও, টেবিল, লিস্ট, লিংক। এগুলোকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা সবথেকে গুরত্বপূর্ন বিষয়।
লক্ষ্য রাখুন – পোস্ট বডির শুরুতেই কয়েক লাইনের একটি শিরোনাম লিখুন। ওই কয়েক লাইনের মধ্যে পুরো কনটেন্ট সম্পর্কে ধারণা দিন (Brief)। ভিজিটরকে পুরো কনটেন্ট পড়ার জন্য আকর্ষণীয় কিছু লিখতে পারেন।
প্রথম প্যারাগ্রাফ ও পোস্ট বডির শেষ প্যারাগ্রাফে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড রাখুন। স্বাভাবিকভাবে যতগুলো কিওয়ার্ড পোস্ট বডিতে মধ্যে চলে আসে সেগুলো লিখুন, লিখা শেষে সেগুলোর রিলেটেড কিওয়ার্ড বসিয়ে দিন।
পোস্ট কতটুকু বড় হবে?
আমাদের মাথায় অনেক সময় চিন্তা থাকে আমাদের আর্টিকেল কত শব্দের হবে বা কতটুকু বড় হবে। এটার উত্তর হচ্ছে, আপনি যতটুকু বড় করতে পারেন আপনার আর্টিকেলের ততোই সুবিধা হবে। তবে বড় আর্টিকেলের থেকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইন্টারেক্টিভ আর্টিকেল।
বড় আর্টিকেল ভিজিটরকে পড়ানোর জন্য কনটেন্টকে অবশ্যই ইন্টারেক্টিভ করতে হবে। তাই কনটেন্ট জোর করে টেনে বড় করার কোনো মানে নেই। শুধু তথ্যবহুল কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করতে হবে।
তবে আমার কাছে মনে হয় ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের বাংলা কনটেন্ট হচ্ছে আদর্শ বাংলা আর্টিকেল। এখন আপনি কতটুকু বড় আর্টিকেল লিখবেন এটা নির্ভর করছে আপনার কম্পিটিটর কি করছে! চেষ্টা করবেন আপনার কম্পিটিটরের চাইতে কমপক্ষে ২০০ শব্দ বেশি লেখার জন্য।
ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লিখুন
কনটেন্ট একঢালা না লিখে ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লিখুন। একটি প্যারাগ্রাফে ৫-৭টি বাক্য লিখতে পারেন। এতে গুগল বট সহজেই আপনার কনটেন্ট ধরতে পারবে।
তাছাড়া ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লিখলে কনটেন্ট দেখতে মিনিমাল লাগে যা কনটেন্টকে ভালোমত পড়ার উপযোগী করে তুলবে।
হেডিং যুক্ত করুন (H2-H6)
একটি আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অংশ থাকে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকে। এই বিষয়গুলোকে আলাদা করে তুলে ধরার জন্য হেডিং যুক্ত করুন।
রিলেটেড কিওয়ার্ড ও আলোচনার মূল বিষয়গুলোকে সাব হেডিং (H2) ব্যবহার করতে পারেন। H2 এর আন্ডারে কয়েকটি H3 ও প্যারাগ্রাফ থাকতে পারে। কনটেন্ট অনুযায়ী সঠিকভাবে হেডিং সাজাতে হবে।
রিলেটেড পোস্টগুলোর ইন্টারনাল লিংকিং করুন
শুরুতেই বলেছি গুগল relevance রাখাকে গুরুত্ব দেয়। তাই পোস্টে রিলেটেড অন্যান্য পোস্টগুলোর লিংক যুক্ত করে দিবেন। একদিকে এটা আপনার ভিজিটর ধরে রাখতে সাহায্য করবে পাশাপাশি নতুন পোস্ট দ্রুত ইন্ডেক্স হবে।
অনেকেরই শুনি ইন্ডেক্স সমস্যা, কিন্তু আমার কখনই এই ইন্ডেক্সিং নিয়ে সমস্যা হয়নি। কারণ আমি সবসময়ই রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোর সাথে ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করে দিই।
এক্ষেত্রে লিংক সেটিংসে Do Follow ও Open in new Window দিবেন। খেয়াল রাখবেন, কখনোই রিলেটেড নয় এরকম লিংক যুক্ত করবেন না।
পোস্টের ভিতর লিস্ট, নাম্বার ও টেবিল যুক্ত করা
আরো একটি গুরুত্পূর্ণ বিষয় হলো পোস্টের মধ্যে লিস্ট যুক্ত করা, নাম্বার যুক্ত করা। আর্টিকেল রেঙ্ক হওয়ার ক্ষেত্রে এটি বিশাল ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে সার্চ রেজাল্ট স্নিপেট (Snippet) হতে।
পোস্টের মধ্যে টেবিল যুক্ত করা আরও একটি কার্যকর এসইও ফ্যাক্টর। এটি যেমন কনটেন্টকে ভিজিটরের কাছে ইন্টারেক্টিভ করে তোলে ঠিক তেমনি ভাবে রেঙ্ক হতেও ভূমিকা পালন করে।
ছবি যুক্ত করুন
পোস্টকে ইন্টারেকটিভ করতে হলে ছবি যুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের একটি আর্টিকেলে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি ছবি যুক্ত করুন।
ছবির জন্য এসও (Image SEO)
শুধু ছবি যুক্ত করে দিলেই হবে না, ছবিকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে হবে। ছবির সাইজ রাখুন ১০০kb নিচে তাহলে সাইট দ্রুত লোড হবে। ইমেজকে চাইলে webp ফরম্যাটে কনভার্ট করে নিতে পারেন। যেকোনো ফরম্যাট থেকে webpতে কনভার্ট করতে এখানে ক্লিক করুন। আর ছবি ডাইমেনশন আপনার সুবিধামতো নিতে পারেন, আমার সাজেশন থাকবে ১০০০×৫০০।
Image SEO এর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে Image Title ও Alt ট্যাগ। Alt ট্যাগ দ্বারা সার্চ ইঞ্জিন বটকে ছবি সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হয়।
Image SEO এর তিনটি ধাপ —
- ছবি রিনেম (Rename) করে কিওয়ার্ড বসানো
- ছবির টাইটেল দেওয়া
- ছবি Alt তে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা
পার্মালিংক (Permalink) অপটিমাইজ
পোস্টের লিংকই হলো পার্মালিংক। পার্মালিংক অবশ্যই শর্ট করবেন ও এন্ডিং ওয়ার্ড ইউজ করা থেকে বিরত থাকবেন। অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড বসাবেন।
এখন কথা হচ্ছে বাংলা ব্লগের ক্ষেত্রে বাংলায় পার্মালিংক দিবেন নাকি ইংরেজিতে দিবেন? হ্যা, বাংলা ব্লগে বাংলাতেই পার্মালিংক লিখুন। আপনার সাইট যদি ব্লগারে থাকে তবে বাংলা পার্মালিংক ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
বাংলা কনটেন্ট রাইটিং FAQ
আমাদের মাঝে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে যেসব কমন প্রশ্ন দেখা যায় সেগুলো তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: Keyword Research কিভাবে করবো?
উত্তর: কিওয়ার্ড করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন টুলস আছে। Ubersuggest, Aherfs, Moz, Semrush, google keyword planner টুলসগুলো ইউজ করতে পারেন।
প্রশ্ন: টাইটেল কত শব্দের মধ্যে লিখবো?
উত্তর: ৫/৭ টি শব্দ বা ৫০-৭০ অক্ষরের মধ্যে
প্রশ্ন: কত শব্দের আর্টিকেল লেখা ভালো?
উত্তর: নির্দিষ্ট কোনো কিছু উল্লেখ নেই, তবে ১০০০-১৫০০ শব্দের আর্টিকেল লিখতে চেষ্টা করবেন।
প্রশ্ন: কিওয়ার্ড কোথায় বসাবো?
উত্তর: স্বাভাবিকভাবে কিওয়ার্ড যেখানে আসবে সেখানেই বসাবেন। তবে পোস্টের টাইটেল, প্রথম প্যারাগ্রাফ, হেডিং, ইমেজ Alt, শেষ প্যারাগ্রাফ, পার্মালিংক ও মেটা ডেসক্রিপশনে অবশ্যই ফোকাস ও রিলেটেড কিওয়ার্ড রাখবেন।
প্রশ্ন: কিওয়ার্ড ডেনসিটি কত রাখবো?
উত্তর: স্বাভাবিকভাবে কনটেন্ট লিখলে কিওয়ার্ড ডেনসিটি নিয়ে ভাবতে হবে না। জোর করে কখনোই কিওয়ার্ড আনার চেষ্টা করবেন না তাহলেই হবে। তবে খেয়াল রাখবেন ১০০০ শব্দের আর্টিকেলে সর্বোচ্চ ৫-৭ বারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
প্রশ্ন: পোস্ট দ্রুত ইন্ডেক্স করতে কি করবো?
উত্তর: পোস্ট দ্রুত ইন্ডেক্স করতে হলে আপনাকে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করে যেতে হবে। আর ইন্ডেক্স হয়েছে এমন পোষ্টের মধ্যে নতুন পোস্টের ইন্টারনাল লিংক করতে হবে।
এর বাইরে এসইও সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে করতে পারেন।
আরোও দেখুন — নতুন ব্লগারেরা যে ১০টি ভুল করে থাকে
শেষ কথা
প্রতিযোগিতার এই যুগে দিনদিন বাড়ছে ব্লগারের সংখ্যা, বাড়ছে এসইও দক্ষদের সংখ্যা। তাই ব্লগিংয়ে ভালো রেজাল্ট পেতে হলে অবশ্যই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখতে হবে। পাশাপাশি কনটেন্টকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর অনুসরণ করতে হবে।
আশাকরি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেকাংশে সাহায্য করবে। এছাড়াও দিনদিন পরিবর্তন হচ্ছে এসইও স্ট্রেটিজি বা কৌশল। নতুন কোন বিষয় সামনে আসলে অবশ্যই এই ব্লগে যুক্ত করা হবে।