AI- Powered Digital Media & Learning Platform
AI- Powered Digital Media & Learning Platform

ইউটিউব থেকে টাকা আয় ১০টি কার্যকর উপায়ে!

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম

ইউটিউব শুধু বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি টাকা আয়ের একটি দারুণ মাধ্যমও হতে পারে। আপনার কন্টেন্ট আকর্ষণীয় এবং দর্শকদের কাছে মূল্যবান হলে, ইউটিউব থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব। এই লেখায়, আমরা আপনাকে ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের ১০টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জানাবো। এগুলোর সাহায্যে আপনি আপনার চ্যানেলকে বাড়িয়ে তুলতে এবং আয়ের স্রোত তৈরি করতে পারবেন।

আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন তবে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। করণ এটির মাধ্যমে আপনার ইনকাম বাড়াতে পারবেন। যারা নতুন ইউটিউবার হতে চাচ্ছেন তারাও পড়ুন পরবর্তীতে কাজে আসবে।

আরও দেখুন – ইউটিউব মার্কেটিং কি? ইউটিউব মার্কেটিং কেনো করবেন?

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য কি টাকা দেয়?

ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনি বা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কোনো টাকা পায় না। অর্থৎ ভিডিও আপলোড করার জন্য ইউটিউব আপনাকে টাকা দিবে না। আপনার মনিটাইজও স্বভাবিকভাবে বন্ধ থাকে যেটাকে পরবর্তিতে চালু করতে হয়। ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য মনিটাইজেশন চালু করতে হয়।

কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়?

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য অনেক উপায় আছে। তারমধ্যে সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকারি উপায় হল ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম বা এডসেন্স। তবে এডসেন্স কিন্তু ইউটিউবে আয়ের একমাত্র উপায় নয়। ইউটিউবে এডসেন্স ছাড়াও আয়ের আরো অনেক উপায় রয়েছে। এখানে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হল।

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (মনিটাইজেশন)

ইউটিউব পার্টনরশিপ মানে আপনাকে ইউটিউবের পার্টনার হতে হবে না। আপনার চ্যানেল থেকে এডসেন্সের জন্য কিছু অপশন পাবেন সেখান থেকে সেটিংস অন করুন। বর্তমানে ইউটিউব সবাইকে এডসেন্স দিচ্ছে না। আপনাকে তাদের এডসেন্সের শর্ত পূরণ করতে হবে, তবেই মনিটাইজেশন চালু করতে পারবেন। কিভাবে মনিটােইজেশন চালু করবেন আলোচনা করছি।

০১. ইউটিউব চ্যানেল খোলা

ইউটিউব থেকে আয় করার প্রথম শর্ত হল আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। আপনি সহজেই ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনার লোগো, ব্যানার আপলোড দিয়ে নিন।

০২. চ্যানেল মনিটাইজ পাওয়ার শর্তগুলি পূরণ করুন

প্রোগ্রামটিতে যোগ দিতে আপনার আগের ১২ মাসে ন্যূনতম ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ ঘন্টার ওয়াচ-টাইম দরকার।

১২ মাসে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার মানে এই না, যে যেদিন থেকে চ্যানেল খুললেন সেদিন থেকে ১২ মাস। এই ১২ মানে আপনি যেদিন এডসেন্সের জন্য আবেদন করছেন তার পিছনের ১২ মাস। চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচটাইম মানে আপনার চ্যানেলে যতগুলো ভিডিও আছে সবগুলো মিলিয়ে ৪০০০ ঘন্টার ভিউ লাগবে। আপনার চ্যানেলে আপনি ওয়াচটাইম নামের অপশনে কত ঘন্টার ভিউ হচ্ছে দেখতে পারবেন।

০৩. আপনার এডসেন্স একাউন্ট সেটআপ করুন

আপনার এডসেন্স একাউন্টটি ইউটিউবে সেটআপ করুন। আপনি যে ই-মেইলে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন সেই ই-মেইলে এডসেন্স একাউন্ট করতে পারেন, আবার অন্য ই-মেইলে এডসেন্স খুলে চ্যানেলের সাথে যোগ করে দিতে পারেন। এটা একান্ত আপনার ব্যাক্তিগত।

আপনার যদি আগে এডসেন্স একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে নতুন একাউন্ট খুলবেন না। এটা গুগলের নিয়মের বাইরে বা অপরাধ। আর গুগল আপনার দুটো একাউন্টই ব্যান্ড করতে পারে। কিভাবে এডসেন্স একাউন্ট সেটআপ করবেন গুগলের অফিসিয়াল পেজ।

আরও দেখুন – ওয়েবসাইট থেকে আয় – গুগল এডসেন্সের ১০টি সেরা বিকল্প

০৪. বর্তমান মনিটাইজেশনের কিছু ফিচার

প্রতিটি মনিটাইজেশনর নিয়ম চ্যানেলের বিভিন্ন যোগ্যতার উপর নির্ভরশীল। এই ক্ষেত্রে:

বিজ্ঞাপনের আয়: বিজ্ঞাপন আয় উপার্জনের জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন-বান্ধব ভিডিও তৈরি করতে হবে। মূলত, আপনার ভিডিওগুলি যত কম বিতর্কিত হবে, তত বেশি ইউটিউব বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের বিজ্ঞাপন চালানোতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন এবং আপনি তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন।

ইউটিউব প্রিমিয়াম ভিউজ: যদি কোনও ইউটিউব প্রিমিয়াম সদস্য আপনার ভিডিও দেখেন, আপনি তাদের সাবস্ক্রিপশন ফির একটি অংশ পাবেন। (এটি স্বয়ংক্রিয়, যা দুর্দান্ত।) বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

০৫. ক্রেডিট দান

আপনি একজন ইউটিউবের পার্টনার হিসেবে আপনাকে তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন এবং ইউটিউব পার্টনারশিপ পলিসি মেনে চলতে হবে। কপিরাইট আইন কিন্তু কমিউনিটি গাইডলাইনের ভিতরে, আপনি কোনো কপিরাইট কন্টেন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।

এটি ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় মনিটাইজেশনের পদ্ধতি। এই প্রোগ্রামে যোগ দিতে হলে আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং গত ৪০০০ ঘন্টার ভিডিও দেখার সময় থাকা আবশ্যক। প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার পর, আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং আপনি প্রতি হাজার ভিউ বা ক্লিকের উপর ভিত্তি করে আয় করতে পারবেন।

কীভাবে শুরু করবেন:

  • আপনার চ্যানেল তৈরি করুন এবং উচ্চ-মানের কন্টেন্ট তৈরি করুন।
  • নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন।
  • দর্শকদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করুন এবং কমিউনিটি তৈরি করুন।
  • YouTube Partner Program এর জন্য আবেদন করুন।

টিপস:

  • আকর্ষণীয় থাম্বনেইল এবং শিরোনাম ব্যবহার করুন।
  • ভালো ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন।
  • কীওয়ার্ড গবেষণা করুন এবং আপনার ভিডিওগুলিকে SEO-অনুকূল করুন।

পণ্য স্পন্সরশিপ করুন

আপনার চ্যানেলে অনেক ভিউ আছে কিন্তু কোনো কারণে মনিটাইজেশন ডিজেবল হয়েছে। বা এডসেন্সের পাশিপাশি আয় করতে চান তখন প্রডাক্ট স্পন্সরশিপ নিতে পারেন। মানে ভিডিওর মাধ্যমে প্রডাক্টটির মান, ভালো দিক, খারাপদিক তুলে ধরা।

স্পন্সর শিপ নিতে হলে আপনার চ্যানেলে ভালোমানের ভিউ থাকতে হবে। না হলে আপনাকে কেউ স্পন্সরশিপ দিতে চাইবে না। লোকাল মার্কেট বা অনলাইনে আপনি প্রডাক্টের স্পন্সারশিন নিতে পারেন। স্পন্সরশিপ নিয়ে ইউটিউবে ভালো মানের উপার্যন করা যায়। তবে স্পন্সরশিপ করার সময় প্রডাক্টের কোয়ালিটি দেখুন ও সৎভাবে প্রডাক্টটির ভালো-খারাপ দিক তুলে ধরুন। আপনার কথা শুনে প্রডাক্ট ক্রয় করে যেন কেউ না ঠকে। কারণ বিশ্বাস অনেক বড় জিনিস।

টিপস:

  • আপনার মিডিয়া কিট তৈরি করুন যাতে আপনার চ্যানেলের পরিসংখ্যান এবং দর্শকদের ডেমোগ্রাফিক্স অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • আপনার পিচকে পেশাদার রাখুন এবং ব্র্যান্ডকে কীভাবে উপকার করতে পারবেন তা হাইলাইট করুন।
  • নেগোশিয়েশন করতে ভয় করবেন না।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করুন

বর্তমানে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার অনেক ভালো একটি পদ্ধতি হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি একজন ব্লগার বা ইউটিউবার হন ও আপনার ভালো ভিউয়ার থাকলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? যারা জানে না তাদের জন্য, এফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনি কোনো কোম্পানির পন্য বিক্রয় করে দিবেন তার বদলে কোম্পানির আয়ের একটি অংশ পাবেন।

কিভাবে পণ্য বিক্রি করবেন? ভিডিওর ডিসক্রিপশনে লিংক দিবেন সেই লিংক ব্যবহার করে কেউ জিনিস কিনলে প্রফিটের অংশ পাবেন। সঠিক অডিয়েন্স নিয়ে কাজ করতে পারলে অনেক টাকা আয় করা যায়।

লোগো বা ব্রান্ডের প্রচার

অনেক সময় দেখে থাকবেন, ভিডিওর কোনায় বিভিন্ন কোম্পানির লোগো দেয়া আছে। এই ভিডিওতে তাদের লোগো ব্যবহার করার জন্য কোম্পানিগুলো প্রচুর টাকা অফার করে থাকে।

সাধারণত নাটক বা কোনো গানের ভিডিওতে এই লোগোগুলো দেখা যায়। কারণ এগুলোর অনেক লোক দেখে। আপনি টেন মিনিট স্কুলের ভিডিও দেখতে দেখতে পাবেন তারা রবির লোগো ব্যবহার করছে। রবি তাদের লোগো প্রদর্শনের জন্য অনেক টাকা দেয়। আপনার ভিডিওতে ভালো পরিমাণ ভিউ থাকলে এবং কপিরাইট কন্টেন্ট না থাকলে সহজে এই অফারগুলো পেতে পারেন। বা আপনি চাইলে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অফার নেয়ার জন্য।

নিজের পণ্য বিক্রি

আপনি যদি কোনো জিনিস বানাতে দক্ষ হন যেমন: কাপড় সেলার, মাটির শিল্পকার্য ইত্যাদি। এগুলো আপনি বানানোর সময় ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়তে পারেন। ইউটিউবে ভিডিও দেয়ার মাধ্যমে আপনি লোকের নিকট পরিচিতি পাবেন। আপনি ভিডিওর মধ্যে বা ডিসক্রিপশনে আপনার সাথে যোগাযোর নম্বর দিতে পারেন। এবং তাদের এফোর্টেবল প্রাইজে কাজটা করে দেয়ার জন্য অফার করতে পারেন।

ইউটিউবে ভিডিও দেয়ার মাধ্যমে আপনার দক্ষতাকে দেখিয়েছেন। এখন যদি কেউ কাজ করাতে চাই তবে আপনাকেই খুজবে। কারণ তারা দেখেছে আপনি কাজটা ভালোভাবে করতে পারেন। সবাই চাই তার কাজটা সুন্দর হোক। তাই আপনি খুব দ্রুতই অনেক অর্ডার পেতে পারেন।

কীভাবে শুরু করবেন:

  • আপনি যে পণ্য বিক্রি করতে চান তা নির্ধারণ করুন।
  • একটি ইকমার্স স্টোর তৈরি করুন।
  • আপনার পণ্যগুলিকে আপনার ভিডিওগুলিতে প্রদর্শন করুন এবং লিঙ্কগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • YouTube Shopping স্থাপন করুন।

টিপস:

  • উচ্চ-মানের পণ্য বিক্রি করুন যা আপনার দর্শকদের কাছে মূল্যবান।
  • ভালো পণ্যের বর্ণনা এবং চিত্রগুলি ব্যবহার করুন।
  • প্রমোশন এবং ছাড়ের অফার দিন।
  • দ্রুত এবং কার্যকরী কাস্টমার সার্ভিস প্রদান করুন।

কোর্স বা ইবুক বিক্রি

আপনি যদি কোনো পেইড কোর্স করাতে চান তবে আপনাকে আগে কোর্সের মার্কেটিং করাতে হবে। ইউটিউব ব্যবহার করে আপনি সহজে মার্কেটিং করতে পারেন। কোর্সের জন্য সুন্দর দেখে একটি ওয়েবসাইট বানান। সেখাতে আপনার কোর্সের ব্যাপারে লিখুন। কারণ বর্তমানে ডিজিটাল প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য ওয়েবসাইট খুবই দরকারী একটি জিনিস।

কোর্সের বিশেষত্ব বা করলে কি হবে আপনার ক্লাইন্ট কিকি সুবিধা পাবে তার উপর ভিডিও বানান। আপনি চাইলে কোর্সের কিছু অংশ ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। এতে আপনার অডিয়েন্স খুবই সহজে আপনার কোর্স সম্পর্কে ধারণা করতে পারবে। যেহেতু ফ্রি ভিডিওগুলো দেখার পর ভালো লাগবে এবং আগ্রহ বাড়বে। তারা কোর্সটি কিনতে চাইবে তাই আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে বা মধ্যে কন্টাক্ট নম্বর বা ওয়েবসাইটের লিংক দিন। মূলত তাদের সঠিকভাবে বলে দিন কিভাবে তারা কোর্সটি কিনতে পারবে বা করতে পারবে।

আপনি যদি কোনো বিষয়ে খুবই দক্ষ বা বইয়ের মাধ্যমে শিখাতে ভালোবাসেন তবে ই-বুক আপনার জন্য বেস্ট। আপনি একটি ইবুক ডিজাইন করুন। লেখা শেষ হলে ইবুকের ভিতর কিকি আছে তা নিয়ে িএকটি রিভিউ ভিডিও বানান। সেটি ইউটিউবে আপলোড করুন। কোথা থেকে আপনার ইবুক সংগ্রহ করতে পারবে তা ভিডিওর যেকোনো জায়গায় বলে দিন।

ব্যাকলিংক বিক্রি

অনেক ব্লগার আছে যারা কোয়ালিটি ব্যাকলিংক বানাতে চাই। আপনার ভিডিও যেই রিলেটেড সেই রকম একটি ওয়েবসাইটের কাছে লিংক বিক্রি করতে পারেন।

যেমন: আপনি একজন ব্লগারের সাথে চুক্তি করলেন যে, তার সাইটের লিংক আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে দিবেন। যত ভিউ আসবে তার উপর ভিত্তি করে ব্লগার আপনাকে টাকা দিবে। এভাবে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন

এইভাকে আয় করার জন্য অবশ্যই বিশ্বস্ত কারোর সাথে ডিল করবেন তা না হলে আপনার সাথে ফ্রড হতে পারে।

ফ্যান ফান্ডিং

ফ্যান ফান্ডিং প্ল্যাটফর্মগুলি আপনাকে আপনার দর্শকদের কাছ থেকে সরাসরি অর্থায়ন নিতে দেয়। আপনি একক অর্থায়ন বা সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক অর্থায়ন চালানোর বেছে নিতে পারেন।

কীভাবে শুরু করবেন:

  • একটি ফ্যান ফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন (যেমন Patreon, Substack)।
  • আপনার দর্শকদেরকে তাদের সমর্থন দেখানোর জন্য বিশেষ সুযোগ এবং পুরস্কার অফার করুন।
  • আপনার ফ্যান ফান্ডিং পেজকে নিয়মিত আপডেট করুন এবং দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করুন।

টিপস:

  • আপনার দর্শকদের কাছে স্বচ্ছ এবং সৎ থাকুন।
  • তাদের মতামত এবং প্রতিক্রিয়া শুনুন।
  • তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

ইউটিউব থেকে টাকা আয় সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

এডসেন্স ছাড়া কি ইউটিউব থেকে আয় করা যায়?

অবশ্যই। ইউটিউবে আপনার ভালো দর্শক থাকলে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। যেমন: এফিলিয়েট মার্কেটিং, নিজের পণ্য বিক্রি বা লিংক বিক্রির মাধ্যমে।

সাবস্ক্রাইবার না হলে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়?

আপনার কন্টেন্ট-এ ভালো ভিউজ আছে কিন্তু চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার নেই। এমন হলে আপনি আয় করতে পারবেন। হয়তো এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন না। কারণ ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী এডসেন্স পেতে আপনার ১০০০ সাবস্ক্রাইবার লাগবে।

মনিটাইজেশন পেতে কত ওয়াচটাইম ও সাবস্ক্রাইবার দরকার হয়?

মনিটাইজ পেতে হলে আপনার চ্যানেলে ১২ মাসের মধ্যে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ঘন্টা ওয়াচটাইম লাগবে।

ইউটিউব ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়?

প্রথমত ইউটিউব ভিউ হিসাব করে টাকা দেয় না। আপনার চ্যানেলে যদি এডসেন্সে ইনেবল থাকলে তাহলে বাংলাদেশের গড় সিপিসি অনুযায়ী ১০০০ ভিউতে ৩ বা ৪ ডলার মতো আয় করতে পারবেন।

উটিউবের ভিউ কাউন্ট হয় কিভাবে?

সাধারণত কোনো ভিউয়ার ৩০ সেকেন্ডের বেশি দেখলে তবেই ভিউ কাউন্ট করা হয়। ৩০ সেকেন্ডের আগে ভিডিওটা কেটে দিলে কোনো ভিউ আসবে না। বা সেটি কাউন্ট হলেও একসময় স্প্যাম হিসেবে কাউন্ট করবে।

শেষকথা

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু, এটি সফল হতে ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক কৌশল প্রয়োজন। উপরে বর্ণিত উপায় আপনাকে শুরু করতে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করতে সঠিক গাইডলাইন দিবে।

ইউটিউব থেকে উপার্জন করার জন্য যে শুধু এডসেন্সের উপর নির্ভর করতে হবে এমন নয়। আপনি এডসেন্স বাদেও উপরের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এডসেন্স ব্যবহার করলে বাকিগুলো থেকে যে আয় করতে পারবেন না এমন নয়। আপনি চাইলে আপনার এডসেন্সের পাশাপাশি এফিলিয়েট করতে পরেন। মানে একই ভিডিওতে এডসেন্স এর পাশাপাশি এফিলিয়েট বা উপরের সবগুলো পদ্ধতিই এপ্লাই করতে পারেন।

Share this article
Shareable URL
Prev Post

মোবাইল দিয়ে কার্টুন ভিডিও তৈরি: সেরা ১০টি অ্যাপ

Next Post

ফেসবুক ডিটেইলড টার্গেটিং ও সফল ক্যাম্পেইনের জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *